বাংলাদেশ গম ও ভূট্টা গবেষণা ইনষ্টিটিউট নশিপুর দিনাজপুর আয়োজনে গত ৫ জানুয়ারি সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ গম ও ভূট্টা গবেষণা ইনষ্টিটিউট নশিপুর দিনাজপুর এর সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট, বাংলাদেশ গম ও ভূট্টা গবেষণা ইনষ্টিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর ব্যবস্থাপনায় প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিট বিএআরসি এন এটিপি ২ এর অর্থায়নে দিনব্যাপী বিধ্বংসী পোকা ফল আর্মিওর্য়ামের আক্রমণ ও প্রতিকার সংক্রান্ত সচেতনা মূলক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ গম ও ভূট্টা গবেষণা ইনষ্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মার সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ অনুবিভাগ) কৃষি মন্ত্রণালয় সনৎ কুমার সাহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (সরেজমিন উইং) খামারবাড়ি ঢাকা এর ড. মো. আব্দুল মুঈদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহআলম ও এম এ ওয়াজেদ এবং বিএডিসির মহা ব্যবন্থাপক (বীজ) কৃষি ভবন ঢাকা এর মো. ফারুক জাহিদুল হক। ফল আর্মিওর্য়ামের আক্রমণ ও প্রতিকার শীর্ষক কারিগরি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএআরআই গাজীপুর এর পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. সৈয়দ নূরুল আলম। কারিগরি প্রবন্ধ উপস্থাপন শেষে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা এ আলোচনায় অংশ নেন এবং মত বিনিময় করেন। প্রধান অতিথি বলেন যে, এ পোকা প্রতি রাতে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উড়তে পারে। এ পোকা প্রথমে আমেরিকায় এবং পরে ভারতে দেখা যায়। সর্বশেষ বাংলাদেশের তিন জায়গায় এ পোকা দেখা গেছে তা হলো বগুড়ার শেরপুরে চুয়াড়াঙ্গার দামুরহুদা ও মানিকগঞ্জের সদর উপজেলায়। যেহেতু এ পোকা উড়তে পারে তাই তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য আমাদের সর্তক থাকতে হবে। যেহেতু, জমিতে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে এ পোকার উপস্থিতি বোঝা যায় সেহেতু এ পোকার উপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ফেরোমন ফাঁদ সরবরাহ করার জন্য বাংলাদেশ গম ও ভূট্টা গবেষণা ইনষ্টিটিউট এর মহাপরিচালকে নির্দেশ প্রদান করেন। বিশেষ অতিথি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর অতিরিক্ত পরিচালকদ্বয় বলেন আমাদের উপজেলা গুলোতে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের ওপর যে সব প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয় সেখানে ফল আর্মিওর্য়াম পোকার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আলোচনা করে মূল প্রশিক্ষণ শুরু করার নিদের্শ দেন। এতে কৃষকের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে। এ পোকার ক্ষতিকর দিক নিয়ে আরো বেশি বেশি লিফলেট তৈরি করতে হবে। অনুষ্ঠান শেষে সভাপতি কৃষি সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে এ বিষয়ে যথেষ্ট আগাম সর্তক ব্যবস্থার মাধ্যমে এ পোকার আক্রমণ প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়ে এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে কর্মশালার সমাপ্ত করেন।